Md Yousuf Sohel

Md Yousuf Sohel
Md Yousuf Sohel

সম্পর্কে

মো: ইউছুফ সোহেল: জীবন, কর্ম ও সংগ্রামের পথচলা
প্রারম্ভ

মো: ইউছুফ সোহেল ১৯৭৯ সালের ১লা জুলাই চট্টগ্রামের এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হাজী আব্দুল হাকিম ও ফরিদা হাকিমের জ্যেষ্ঠ সন্তান। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনিই বড়। শৈশব থেকেই তিনি পরিবারে নেতৃত্বদানের স্বাভাবিক গুণাবলি প্রদর্শন করেন। ২০০৫ সালে তিনি বৈবাহিক জীবনে পদার্পণ করেন। বর্তমানে তিনি দুই পুত্র ও দুই কন্যার জনক। শৈশবের কিছু সময় চট্টগ্রামে কাটালেও ১৯৮৯ সালে পরিবারসহ কুমিল্লার মুরাদনগরে স্থানান্তরিত হয়ে সেখানেই শৈশব ও কৈশোর অতিবাহিত করেন।

শিক্ষাজীবন

প্রতিভাবান ছাত্র হিসেবে মো: ইউছুফ সোহেল ১৯৯৫ সালে এসএসসি এবং ১৯৯৭ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হলেও তৎকালীন আওয়ামী লীগের সময়ে ২০০১ সালে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় ফাইনাল পরিক্ষার ৬ দিন আগে কারারুদ্ধ হন এবং পরবর্তীতে রিমান্ড হয়। যার ফলে তিনি ফাইনাল পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। তবে শিক্ষার প্রতি তাঁর আন্তরিক ভালোবাসা কখনো নিভে যায়নি। তিনি বিকন ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং ইসলামিক স্টাডিজ থেকে সাফল্যের সঙ্গে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্মজীবন

ছাত্র জীবন থেকেই তিনি পারিবারিক ব্যবসার হাল ধরেন। ব্যবসায়িক জগতে তিনি ধীরে ধীরে নিজেকে একজন দক্ষ উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি মুরাদনগর ট্রাকটার শ্রমিক মালিক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘদিন কুমিল্লার ‘সেবা হাসপাতাল’-এর এমডি হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার পর তিনি মুরাদনগরে “সেফা হাসপাতাল” প্রতিষ্ঠা করেন। চিকিৎসা খাতের পাশাপাশি তিনি শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যেও কাজ করেন এবং “জাবাল-ই-নূর” নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি জামায়াতে ইসলামী ব্যবসায়িক সংগঠন IBWF এর জেলা সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং পাশাপাশি একটি ডেভেলপমেন্ট ব্যবসাও পরিচালনা করছেন।

সামাজিক কর্মকাণ্ড

সমাজসেবার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন মো: ইউছুফ সোহেল। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন, রক্তদান কার্যক্রম পরিচালনা এবং রিকশাসহ ঘর নির্মাণ ও ছাগল বিতরণের মতো নানা মানবিক উদ্যোগ তাঁকে সাধারণ মানুষের প্রিয়মুখে পরিণত করেছে।

সাংগঠনিক জীবন

রাজনীতির হাতেখড়ি তাঁর ছাত্র জীবনেই। জাতীয় পার্টির তৎকালীন এম কায়কোবাদ সাহেবের তত্ত্বাবধানে তিনি জাতীয় ছাত্র সমাজ সংগঠনে যোগ দেন। পরবর্তীতে ইসলামী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৯৮ সালে সাথী পদ গ্রহন করেন এবং পরবর্তীতে তিনি ছাত্র শিবিরের মুরাদনগর উপজেলার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে তিনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আবার ২০০৯ সালেই জামায়তের রুকন হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। বর্তমানে জামায়ত মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী।

রাজনৈতিক সংগ্রাম ও বিরোধীদের নিপীড়ন

রাজনীতির কঠিন বাস্তবতায় মো: ইউছুফ সোহেলকে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিরোধী দল বারবার তাঁর ব্যবসা ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। বেআইনিভাবে ব্যবসা দখলের চেষ্টা, পারিবারিক জীবনে অশান্তি সৃষ্টি এবং একের পর এক মিথ্যা মামলার হয়রানি তাঁকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে। তবুও তিনি দৃঢ় মনোবল নিয়ে প্রতিটি সংকট অতিক্রম করেছেন। অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করে ন্যায়, সততা ও জনসেবার পথে অবিচল থেকেছেন।

Scroll to Top